আলীপুর এলাকাবাসী আধুনিক শিক্ষার সুযোগের অভাবে সবদিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল। এ পরিস্থিতিতে ঐ এলাকার একজন প্রভাবশালী ও সম্পদশালী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো প্রজ্বলিত হয় এবং তারা সমাজ সচেতন হয়ে ওঠে। আলীপুরের শিক্ষিত উন্নয়নকর্মী শায়লা নারী শিক্ষা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করে তোলেন।
শায়লার মতো ব্যক্তিদের উদ্যোগের ফলই ভারতের স্বাধীনতার পথ সুগম করে।"- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সমর্থনযোগ্য।
উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসকদের বেড়াজাল ছিন্ন করে নবজাগরণের উন্মেষ ঘটাতে কিছু সংবেদনশীল মানুষ এগিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বাঙালির এ নবজাগরণ কলকাতা মহানগরীতে ঘটলেও এর পরোক্ষ প্রভাব সারা বাংলাতেই পড়ে। এসময় গুণীজনরা সমাজের অনাচার নিয়ে আত্মসমালোচনার পাশাপাশি শাসকদের অবিচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ভাষায় সমালোচনামুখর হন। মূলত তাদের নির্দেশিত পথেই ভারতের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। উদ্দীপকে উন্নয়নকর্মী হিসেবে শায়লা এলাকাবাসীকে নারী শিক্ষা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, উনবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন সমাজ সচেতন বস্তির প্রচেষ্টায় বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। শায়লাও তাদের দেখানো পথে সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করতে উদ্যোগী হন। জাতীয়তাবাদী চেতনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলস্বরূপ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে এবং ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। সৃষ্টি হয় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সঠিক হয়েছে বলা যায়।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?