Academy

আলীপুর এলাকাবাসী আধুনিক শিক্ষার সুযোগের অভাবে সবদিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল। এ পরিস্থিতিতে ঐ এলাকার একজন প্রভাবশালী ও সম্পদশালী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো প্রজ্বলিত হয় এবং তারা সমাজ সচেতন হয়ে ওঠে। আলীপুরের শিক্ষিত উন্নয়নকর্মী শায়লা নারী শিক্ষা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করে তোলেন।

"শায়লার মতো ব্যক্তিদের উদ্যোগের ফলই ভারতের স্বাধীনতার পথ সুগম করে"- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

শায়লার মতো ব্যক্তিদের উদ্যোগের ফলই ভারতের স্বাধীনতার পথ সুগম করে।"- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সমর্থনযোগ্য।

উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসকদের বেড়াজাল ছিন্ন করে নবজাগরণের উন্মেষ ঘটাতে কিছু সংবেদনশীল মানুষ এগিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বাঙালির এ নবজাগরণ কলকাতা মহানগরীতে ঘটলেও এর পরোক্ষ প্রভাব সারা বাংলাতেই পড়ে। এসময় গুণীজনরা সমাজের অনাচার নিয়ে আত্মসমালোচনার পাশাপাশি শাসকদের অবিচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ভাষায় সমালোচনামুখর হন। মূলত তাদের নির্দেশিত পথেই ভারতের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। উদ্দীপকে উন্নয়নকর্মী হিসেবে শায়লা এলাকাবাসীকে নারী শিক্ষা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, উনবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন সমাজ সচেতন বস্তির প্রচেষ্টায় বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। শায়লাও তাদের দেখানো পথে সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করতে উদ্যোগী হন। জাতীয়তাবাদী চেতনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলস্বরূপ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে এবং ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। সৃষ্টি হয় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সঠিক হয়েছে বলা যায়।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...